মোঃ নাজমুল আলম নাছিমঃ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় ঈদের পরদিনই মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে লকডাউনের খবরে প্রিয়জনদের সঙ্গে তড়িঘড়ির ঈদ কাটিয়ে নিজ কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরছেন অনেকেই।
অন্যদিকে রাজধানী থেকে কোরবানির মাংস নিয়ে গ্রামে ফিরতে দেখা গেছে অনেককেই। দুই দিকের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে দেখা গেছে, ছুটির দিনে ফেরি ও লঞ্চ পারাপার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। উত্তাল পদ্মায় যানবাহন পার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ফেরিগুলো। ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে লঞ্চঘাটে বাড়ছে মানুষের জট।
বিআইডব্লিউটিসি সহ-মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় সব ফেরি চলতে পারছে না।
তিনি জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ১৯টির মধ্যে ১৪টি ফেরি সচল। আর এই রুটে ৮৭ লঞ্চের মধ্যে চলাচল করছে ৮৬টি। লঞ্চগুলো ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহনের বিধান থাকলে ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে বিধিনিষেধেও বিশেষ ব্যবস্থায় রপ্তানিমুখী পোশাক ও শিল্পকারখানা খোলা ছিল। এরপর ঈদুল আজহার কারণে ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করা হয়।
গত ১৩ জুলাই জারি করা এক প্রজ্ঞপনে লকডাউন শিথিলের এ নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল থাকবে। জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ সময়ে জনসাধারণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
একই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ঈদের ছুটি শেষে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।